যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা কমিটির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে হত্যা, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট, অপহরণ, বোমাবাজি, চাঁদাবাজি প্র...
যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা কমিটির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে হত্যা, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট, অপহরণ, বোমাবাজি, চাঁদাবাজি প্রভৃতির অভিযোগ উঠেছে। হত্যা মামলার আসামি হলেও তারাই আবার স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সংগঠনের সচেতন সদস্য বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গ্রুপ কর্তৃক কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো অভিযোগনামা এবং বিভিন্ন সময়ে শহরে পরস্পরবিরোধী পোস্টার ও বিতরণকৃত লিফলেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল দু’টি গ্রুপে বিভক্ত। বিভিন্ন সময়ে গ্রুপ দু’টি পরস্পরবিরোধী অপরাধের চিত্র তুলে ধরে শহরে পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো অভিযোগ ও এসব পোস্টার এবং লিফলেটে সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে ১৬টি। তিনি ট্রাক চোর সিন্ডিকেটের হোতা এবং তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো রূপদিয়ার জামাল মিয়ার স্বর্ণ, ল্যাপটপ, টাকা ও মোবাইল ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা, নাভানা গ্রুপের এক কোটি টাকার মবিল ছিনতাই প্রভৃতি।
সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে ১১টি। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার তিনি আসামি। এ ছাড়া অন্য উল্লেখযোগ্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী লালন ও টেন্ডারবাজি, নাভানা গ্রুপের এক কোটি টাকার মবিল ছিনতাই, ভারতীয় গরুবাহী ট্রাক থেকে গরু চুরি করে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন, চোরাইমাল বেচাকেনা, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা প্রভৃতি।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রিয়াদকে সভাপতি ও বিপুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২৪ এপ্রিল যশোর সরকারি সিটি কলেজে হল দখলকে কেন্দ্র করে জেলা সভাপতি রিয়াদ গ্রুপ ও সহসভাপতি মারুফ হোসেন ইকবাল গ্রুপের মধ্যে গুলি ও বোমাবাজি চলে। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল্লা খান লিখনের নেতৃত্বে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়। যুবলীগ নেতা শিপন হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগের জেলা সহসভাপতি ফয়সাল খান। তিনি একটি ফার্মেসি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। আর এক সহসভাপতি নিয়ামত উল্লাহ যশোর সদর আসনের এমপির নিরাপত্তা প্রহরীর গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি। সহসভাপতি হালিম বিশ্বাস অস্ত্রসহ একবার আটক হয়েছিলেন। ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল করিম রহমান চাঁদার দাবিতে সার্কিট হাউজ পাড়ার একটি বাড়ির ঘরের জানালা-দরজা খুলে নেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, যবিপ্রবির ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার আসামি বিপুল গত ১২ মে যশোর বিমানবন্দরে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ দৃশ্য স্বাভাবিক কারণেই বিস্ময়কর।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল অভিযোগের বিষয়ে পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন। রিয়াদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা বলে মামলা আছে তারা যদি এর প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে সারা জীবনের মতো রাজনীতি ছেড়ে দেবো। যারা কাক্সিক্ষত পদ পায়নি তারাই ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি সংগঠনের জেলা সম্মেলনের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, সময় মতো এই সম্মেলন না হওয়ায় আমাদের ওপর দোষারোপ করা হচ্ছে। আসলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে জেলা কমিটির কোনো হাত নেই।
বিপুল বলেন, যারা বিভিন্ন সময় সংগঠনবিরোধী কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অবাস্তব অবান্তর অভিযোগ যারা করেছে আসলে তারা সংগঠনের কেউ নয়। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে তারা অপপ্রচারে নেমেছে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল দু’টি গ্রুপে বিভক্ত। বিভিন্ন সময়ে গ্রুপ দু’টি পরস্পরবিরোধী অপরাধের চিত্র তুলে ধরে শহরে পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো অভিযোগ ও এসব পোস্টার এবং লিফলেটে সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে ১৬টি। তিনি ট্রাক চোর সিন্ডিকেটের হোতা এবং তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হলো রূপদিয়ার জামাল মিয়ার স্বর্ণ, ল্যাপটপ, টাকা ও মোবাইল ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা, নাভানা গ্রুপের এক কোটি টাকার মবিল ছিনতাই প্রভৃতি।
সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে ১১টি। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার তিনি আসামি। এ ছাড়া অন্য উল্লেখযোগ্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী লালন ও টেন্ডারবাজি, নাভানা গ্রুপের এক কোটি টাকার মবিল ছিনতাই, ভারতীয় গরুবাহী ট্রাক থেকে গরু চুরি করে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন, চোরাইমাল বেচাকেনা, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা প্রভৃতি।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রিয়াদকে সভাপতি ও বিপুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২৪ এপ্রিল যশোর সরকারি সিটি কলেজে হল দখলকে কেন্দ্র করে জেলা সভাপতি রিয়াদ গ্রুপ ও সহসভাপতি মারুফ হোসেন ইকবাল গ্রুপের মধ্যে গুলি ও বোমাবাজি চলে। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল্লা খান লিখনের নেতৃত্বে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়। যুবলীগ নেতা শিপন হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগের জেলা সহসভাপতি ফয়সাল খান। তিনি একটি ফার্মেসি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। আর এক সহসভাপতি নিয়ামত উল্লাহ যশোর সদর আসনের এমপির নিরাপত্তা প্রহরীর গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি। সহসভাপতি হালিম বিশ্বাস অস্ত্রসহ একবার আটক হয়েছিলেন। ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল করিম রহমান চাঁদার দাবিতে সার্কিট হাউজ পাড়ার একটি বাড়ির ঘরের জানালা-দরজা খুলে নেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, যবিপ্রবির ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার আসামি বিপুল গত ১২ মে যশোর বিমানবন্দরে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ দৃশ্য স্বাভাবিক কারণেই বিস্ময়কর।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল অভিযোগের বিষয়ে পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন। রিয়াদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা বলে মামলা আছে তারা যদি এর প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে সারা জীবনের মতো রাজনীতি ছেড়ে দেবো। যারা কাক্সিক্ষত পদ পায়নি তারাই ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি সংগঠনের জেলা সম্মেলনের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, সময় মতো এই সম্মেলন না হওয়ায় আমাদের ওপর দোষারোপ করা হচ্ছে। আসলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে জেলা কমিটির কোনো হাত নেই।
বিপুল বলেন, যারা বিভিন্ন সময় সংগঠনবিরোধী কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অবাস্তব অবান্তর অভিযোগ যারা করেছে আসলে তারা সংগঠনের কেউ নয়। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে তারা অপপ্রচারে নেমেছে।