খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ:
বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান
কার্যালয়ে রাতের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। খালেদা জিয়া
এবং কার্যালয়ে অবস্থানরত সবাই এখনো অভুক্ত। ভাতে মারার আর পানিতে মারার
নীতি অবলম্বন করে, বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন করে, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট
কেবলসহ সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনকে হত্যার
ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জলকামান, বালির ট্রাক,
মরিচের স্প্রেসহ সকল ঘৃণ্য কায়দায় নির্যাতন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জনগণের
অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে খালেদা জিয়াকে এক চুলও সরাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে
ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বর ও হীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার সারা
বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মানকে ভূলুণ্ঠিত করছে।’
‘জনগণের
ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে খালেদা জিয়া
প্রস্তুত আছেন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত
আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগ
প্রতিনিয়ত বিএনপিকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে প্রতিদিন পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী
লীগের দুর্বৃত্তদের দিয়ে সহিংসতা ও পেট্রোলবোমার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড
পরিচালনা করে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাতে চাচ্ছে।’
সারা দেশে অবরোধ শনিবার:
পৃথক বিবৃতিতে ২০ দলের পক্ষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ
বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার দেশের সব থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা সদরে এবং সব
মহানগরের প্রতি ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
দাবিতে, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের
প্রতিবাদে, বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ, সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদমাধ্যম
নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে এবং সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা
করা হয়।
খাবার সরবরাহে বাধা:
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার রাত আটটা থেকে
বাইর থেকে খাবার সরবরাহ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটায়
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই কার্যালয়ে খাবার যায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের
মিডিয়া উইং থেকে ইত্তেফাককে জানানো হয়, ওই কার্যালয়ে অবস্থানরত কর্মকর্তা ও
নিরাপত্তারক্ষীরা শুকনা খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালের
নাশতা ও দুপুরের খাবারও নেয়া হয়নি। বুধবার রাতে খাবার নিতে বাধা দেয়ার ঘটনা
শুনে খালেদা জিয়া তার কার্যালয়ে অবস্থানরতদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তিনি নিজে
সবাইকে খোরমা খেজুর ও মুড়ি দিয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে বিএনপি
চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাতের খাবার নিয়ে আসা ভ্যান পুলিশ ফেরত
পাঠায় বলে অভিযোগ করে তার মিডিয়া উইং।
কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী যাবেন শুক্রবার:
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ইত্তেফাককে
জানান—মতিঝিলে নিজ কার্যালয়ের সামনে গত কয়েক দিন ধরে অবস্থানরত কৃষক শ্রমিক
জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রীর নেতৃত্বে দলটির একটি
প্রতিনিধিদলের শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে
যাওয়ার কথা রয়েছে।
0 coment rios: