
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সুশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের সর্বস্তরের জনগণ বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। সংগ্রামী জনতার ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান গণআন্দোলন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। চলমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে ২০ দলীয় জোট নেতা বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদ্বাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সরকারী দলের দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা ও অন্যান্য অবৈধ অস্ত্রসস্ত্রসহ বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়লেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে না। চলমান গণআন্দোলনকে কলুষিত করার সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশ রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে কিছু অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে এবং তাদের মুখ দিয়ে বলানো হচ্ছে, নাশকতার সাথে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের নেতারা জড়িত। পরিকল্পিতভাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত ও দলকানা কতিপয় গণমাধ্যমে তা দিনরাত ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থকরণের এ জাতীয় আওয়ামী চক্রান্তের বিষয়ে আমরা ইতোপূর্বে অনেকবার আমাদের বক্তব্য প্রদান করেছি। আমরা আবার অবৈধ সরকারের এ জাতীয় ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশের জনগণ এ ধরনের সরকারি চক্রান্ত ও অপপ্রচারে বিশ্বাস করে না, যেহেতু জনগণ প্রত্যক্ষ করছেন যে, বিরোধীদলীয় আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্রসফায়ারে হত্যা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আষাঢ়ে গল্প সাজাচ্ছে। অতএব, সরকারি বাহিনী এ সব নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের দায় এড়াতে পারবেন না।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বেগম খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ আবাসস্থলের সন্নিকটে সরকারপন্থী কিছু সংগঠন হরতাল-অবরোধ বিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করছে এবং দেশনেত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা শাসক শ্রেণির নিরাপত্তা বেষ্টনিকেই বরং দুর্বল করে তুলতে পারে।’
0 coment rios: