
আল-কায়েদার
বিরুদ্ধে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের অন্যতম ক্ষেত্র ইয়েমেনে
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন। ওয়াশিংটনে
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানান—ইয়েমেনের অনিশ্চিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি
বিবেচনায় দূতাবাসটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সানায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের
নিরাপত্তায় প্রায় ১০০ জন মেরিন সেনার একটি দল মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। এ ছাড়া, দূতাবাস কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে
সরিয়ে নেয়ার জন্য ইয়েমেনে উপকূলের লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর উভচর
যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস আইয়ো জিমা অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন আরেক কর্মকর্তা।
এ দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইয়েমেনে
যুক্তরাজ্যের দূতাবাসও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক
মন্ত্রী টোবিয়াস এলউড বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়জুড়ে ইয়েমেনে নিরাপত্তা
পরিস্থিতি অধিকতর খারাপ হওয়া অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে আমরা সানা থেকে
সাময়িকভাবে আমাদের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, আরব উপদ্বীপে আল-কায়েদার অন্যতম ঘাঁটি ইয়েমেন। এই জঙ্গিদের
বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ড্রোন অভিযান পরিচালনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই
মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী শিয়া মুসালিম গোষ্ঠী হুতি
যোদ্ধারা রাজধানী সানা দখল করে নেয়। গত মাসে তারা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ
দখল করে প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদি এবং তার সরকারকে পদত্যাগে
বাধ্য করে।
0 coment rios: