অবাধে ঋণ পুনঃতফসিল ও অবলোপনের প্রভাব
পড়েছে যশোরের ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফায়। বছর শেষে অধিকাংশ ব্যাংকেরই
মুনাফা বেড়েছে। ব্যাংকের সারা বছরের আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে পরিচালন মুনাফা
আলাদা করা হয়। তবে অবাধে ঋণ পুনঃতফসিল ও অবলোপনের পর পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধি
টেকসই হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ওয়ান ব্যাংক যশোর শাখার মুনাফা লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৮ কোটি, অর্জন ৮ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জন ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ১০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার পুরোটা অর্জন হয়েছে। গত বছর ব্যাংকটির লক্ষ্যমাত্রা ১০ কোটি থাকলেও মুনাফা হয়েছিল ৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক যশোর শাখার ৭ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি, অর্জন হয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জন ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। রূপালী ব্যাংক যশোর অঞ্চলের (আটটি শাখা) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্জন হয়েছে ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ঢাকা ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি টাকার বিপরীতে অর্জন ১ কোটি টাকা। ব্যাংক এশিয়া যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা, অর্জন ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ৩ কোটি টাকার বিপরীতে অর্জন ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। উত্তরা ব্যাংক যশোর শাখার দেড় কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি টাকা। অর্জন হয়েছে ৭৬ লাখ টাকা। পূবালী ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ লাখ, অর্জন হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি টাকা। অর্জন হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্জন হয়েছে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকও কমবেশি একই ধারায় মুনাফা করেছে।
এ বিষয়ে যশোর সরকারি মাইকেল মধসূদন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ইসরারুল হক বলেন, ব্যাংকগুলো যে মুনাফা দেখাচ্ছে, তা কৃত্রিম বলেই মনে হচ্ছে। নিয়মিত ও অবলোপন করা ঋণ আদায় হলেই এর প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে। সব ব্যাংকেরই এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করা।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে ব্যবসায়ীরা ঠিকভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচির কারণে দোকান বন্ধ থাকায় আমরা দেউলিয়া হতে বসেছি। অথচ ব্যাংক ঠিকই মুনাফা করছে। আমরা এরই মধ্যে ব্যাংক সুদ মওকুফের জন্য অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছি।’
আফিল গ্রুপের পরিচালক মাহাবুব আলম লাভলু জানান, টানা হরতাল, অবরোধে আমরা ফ্যাক্টরি ঠিকমতো চালু রাখা যাচ্ছে না। এসব কর্মসূচির কারণে পণ্য বিক্রি করতে না পারায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কমাতে হচ্ছে। আবার ব্যাংকঋণের সুদও সময়মতো পরিশোধ করতে হয়। ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংককে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
যশোর রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম শওকত আলী জানান, বেসরকারি ব্যাংকের সুদহার অনেক বেশি। এত বেশি সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। ওয়ান ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক ও এভিপি আবু সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল মান্নাফ জানান, ব্যবসায়ীরা যখন ঋণ নেন, তখন তারা জেনে শুনে নিয়ে থাকেন। আর সুদহার কমবেশি করার এখতিয়ার লোকাল ব্যাংক কর্মকর্তাদের থাকে না। এটা প্রধান শাখার ব্যাপার। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে সুদহার নির্ধারণ করেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেয়া ঋণ নীতিমালা শিথিলের সুযোগ শেষ হওয়ার পর বেড়ে যায় খেলাপি ঋণ। বিশেষ বিবেচনায় নিয়মিত করা ঋণ আবারো খেলাপি হয়ে পড়ছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো উপায়ে তা ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এজন্য বড় গ্রুপগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। এর পরই সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো একাধিক পর্ষদ সভা ডেকে ঋণ পুনঃতফসিল ও অবলোপন করে। এতে পরিচালন মুনাফা বেড়েছে বেশির ভাগ ব্যাংকের। এর ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলোর যশোর শাখায় একইভাবে মুনাফা বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ওয়ান ব্যাংক যশোর শাখার মুনাফা লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৮ কোটি, অর্জন ৮ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জন ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ১০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার পুরোটা অর্জন হয়েছে। গত বছর ব্যাংকটির লক্ষ্যমাত্রা ১০ কোটি থাকলেও মুনাফা হয়েছিল ৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক যশোর শাখার ৭ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি, অর্জন হয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জন ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। রূপালী ব্যাংক যশোর অঞ্চলের (আটটি শাখা) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্জন হয়েছে ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ঢাকা ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি টাকার বিপরীতে অর্জন ১ কোটি টাকা। ব্যাংক এশিয়া যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা, অর্জন ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ৩ কোটি টাকার বিপরীতে অর্জন ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। উত্তরা ব্যাংক যশোর শাখার দেড় কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি টাকা। অর্জন হয়েছে ৭৬ লাখ টাকা। পূবালী ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ লাখ, অর্জন হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি টাকা। অর্জন হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক যশোর শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্জন হয়েছে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকও কমবেশি একই ধারায় মুনাফা করেছে।
এ বিষয়ে যশোর সরকারি মাইকেল মধসূদন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ইসরারুল হক বলেন, ব্যাংকগুলো যে মুনাফা দেখাচ্ছে, তা কৃত্রিম বলেই মনে হচ্ছে। নিয়মিত ও অবলোপন করা ঋণ আদায় হলেই এর প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে। সব ব্যাংকেরই এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদার করা।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে ব্যবসায়ীরা ঠিকভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচির কারণে দোকান বন্ধ থাকায় আমরা দেউলিয়া হতে বসেছি। অথচ ব্যাংক ঠিকই মুনাফা করছে। আমরা এরই মধ্যে ব্যাংক সুদ মওকুফের জন্য অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছি।’
আফিল গ্রুপের পরিচালক মাহাবুব আলম লাভলু জানান, টানা হরতাল, অবরোধে আমরা ফ্যাক্টরি ঠিকমতো চালু রাখা যাচ্ছে না। এসব কর্মসূচির কারণে পণ্য বিক্রি করতে না পারায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কমাতে হচ্ছে। আবার ব্যাংকঋণের সুদও সময়মতো পরিশোধ করতে হয়। ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংককে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
যশোর রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম শওকত আলী জানান, বেসরকারি ব্যাংকের সুদহার অনেক বেশি। এত বেশি সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। ওয়ান ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক ও এভিপি আবু সাঈদ মোহাম্মদ আবদুল মান্নাফ জানান, ব্যবসায়ীরা যখন ঋণ নেন, তখন তারা জেনে শুনে নিয়ে থাকেন। আর সুদহার কমবেশি করার এখতিয়ার লোকাল ব্যাংক কর্মকর্তাদের থাকে না। এটা প্রধান শাখার ব্যাপার। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে সুদহার নির্ধারণ করেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেয়া ঋণ নীতিমালা শিথিলের সুযোগ শেষ হওয়ার পর বেড়ে যায় খেলাপি ঋণ। বিশেষ বিবেচনায় নিয়মিত করা ঋণ আবারো খেলাপি হয়ে পড়ছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো উপায়ে তা ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এজন্য বড় গ্রুপগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। এর পরই সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো একাধিক পর্ষদ সভা ডেকে ঋণ পুনঃতফসিল ও অবলোপন করে। এতে পরিচালন মুনাফা বেড়েছে বেশির ভাগ ব্যাংকের। এর ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলোর যশোর শাখায় একইভাবে মুনাফা বেড়েছে।
0 coment rios: