গ্রেফতার আতংকে ঘরমুখো হয়ে পড়েছে যশোর বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত তিন দিনে জেলায় প্রায় দুইশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের অধিকাংশই বিএনপির নেত...

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে যশোরের বিএনপি রাজপথে নামতে পারেনি। ক্ষমতাসীন দল কিংবা প্রশাসনের বাধার মুখে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে তারা। সর্বশেষ সোমবার বিএনপির গণতন্ত্র হত্যা দিবস কর্মসূচি পালন ছিল হতাশাজনক। জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নভাবে কালো পতাকা মিছিল হয়েছে। তবে এর কোনো উত্তাপ ছিল না। এদিকে উপজেলাগুলোতে মাঠেই নামতে পারেনি বিএনপি। অপরদিকে ৫ জানুয়ারি ক্ষমতাসীনদের দখলে ছিল পুরো রাজপথ। গত তিন দিনে জেলায় অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী আটক হয়েছে। এদের অধিকাংশই বিএনপির নেতাকর্মী। ৫ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি টিএস আইয়ুবসহ ৮২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ১ অক্টোবর যশোর প্রেস ক্লাবের মানববন্ধনে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ১২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত শতাধিক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় কারাগারে ছিলেন বিএনপির শীর্ষ ৭৩ জন নেতাকর্মী। ১৯ নভেম্বর তারা জামিনে মুক্তি পান। অনেককে অজ্ঞাত আসামি করায় নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতংকে রয়েছেন।
গত এক বছরে যশোরে বিএনপির সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অন্তত চারশ মামলা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এসব মামলায় দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে রাজপথে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। বরাবরই তারা দলীয় কার্যালয় কিংবা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি।
সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর