অবরোধকারীদের ধাওয়ায় গুরুতর আহত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট ভগবানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন শনিবার দুপ...
অবরোধকারীদের
ধাওয়ায় গুরুতর আহত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট ভগবানপুর সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন শনিবার দুপুরে রংপুর
মেডিকেলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের
ঝালিঙ্গী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।
এছাড়াও
অবরোধকারীরা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় তিনটি
যাত্রীবাহী বাস, ২০টি ভটভটি, নছিমন ও অটোবাইক ভাঙচুর এবং তুলাবোঝাই একটি
ট্রাক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০০ রাউন্ড
রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও চার শিবির কর্মীকে আটক করেছে।
অপরদিকে পথে পথে অবরোধকারীদের নাম ভাঙায়ে বাইসাইকেলসহ টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ
ও এলকাবাসী সুত্রে জানা য়ায়, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পলাশবাড়ী
উপজেলা সদর থেকে আলতাফ হোসেন ভটভটি (শ্যালো ইঞ্জিলচালিত যাত্রীবাহী
যানবাহন) যোগে ঢোলভাঙ্গা যাচ্ছিলেন। পথে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের
পলাশবাড়ীর সুইগ্রাম-গ্রামীণ ব্যাংক এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের
ধাওয়া খেয়ে যাত্রীবাহী ভটভটি উল্টে যায়। এতে আলতাফ হোসেনসহ পাঁচ যাত্রী আহত
হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক আলতাফকে উদ্ধার করে
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায়
শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান। অপরদিকে শনিবার ভোর রাত থেকে দিনভর
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ী উপজেলার মহেশপুর, দুবলাগাড়ি ও জুনদহ এলাকায়
পিকেটাররা ২০টি ভটভটি, নছিমন ও অটোবাইক ভাংচুর করে।
পলাশবাড়ী
থানার ওসি মজিবুর রহমান শিক্ষক নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে
জানান, দুপুরে মহেশপুর, দুবলাগাড়ি ও জুনদহ এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে
পিকেটাররা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ৪ টি পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে। পুলিশও ১০০
রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে
পুলিশ ৪ শিবির কর্মীকে আটক করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ
থানার অফিসার ইনর্চাজ (ও সি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম জানান, এদিকে মহাসড়কের
গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা সংলগ্ন এলাকায় শনিবার ৩টি যাত্রীবাহি বাস ভাংচুর ও
ভোর রাতে পুলিশী পাহারায় যানবাহন পারাপারের সময় চাঁপড়ীগঞ্জ এলাকায় তুলা
বোঝাই ১টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে অবরোধকারীরা। এতে করে ট্রাকটি তুলাসহ
সামনের অংশ সম্পুন্ন পুড়ে যায়। পরে পুলিশ ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে
আসে। এ ঘটনায় জামাত-শিবির ও বিএনপির ১’শ নেতাকর্মীকে আসামী করে থানায় মামলা
দায়ের করা হয়েছে।