আমাদের শরীরে অগ্নাশয়ে ইনসুলিন উৎপাদন কমে গিয়ে ডায়াবেটিস রোগ হয়ে থাকে। শর্করা পরিপাকের জন্য ইনসুলিন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। অগ্নাশয় থ...
আমাদের শরীরে অগ্নাশয়ে ইনসুলিন উৎপাদন কমে গিয়ে ডায়াবেটিস রোগ হয়ে
থাকে। শর্করা পরিপাকের জন্য ইনসুলিন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। অগ্নাশয়
থেকে ইনসুলিন কম ক্ষরণ হলে শর্করা পরিপাকে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ফলে রক্তে
গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়।
অনিয়ন্ত্রিত
ডায়াবেটিস থেকে বিভিন্ন জটিল ও মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন-
হৃদরোগ, কিডনি রোগ, মস্তিষ্কের রোগ, পক্ষাঘাত, অন্ধত্ব, পায়ে পচনশীল ক্ষত
ইত্যাদি। ডায়াবেটিস সারা জীবনের অসুখ। এ অসুখে চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলা যায়
না। তবে আশার কথা হল ডায়াবেটিসের প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক ও পরিমিত পরিমাণ
খাদ্য গ্রহণ এবং ব্যায়াম করে ডায়াবেটিস নিয়েও সুস্থভাবে জীবনধারণ করা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীর শতকরা অর্ধেকের বেশী রোগী শুধুমাত্র খাদ্য নিয়ন্ত্রণের
মাধ্যমে সুস্থ রাখা যায়। একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় ৬০:২০:২০
অনুপাতে শর্করা, স্নেহ ও আমিষ থাকা প্রয়োজন। ডাক্তারদের মতে, একজন
ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ১৫০০-১৮০০ ক্যালোরি সমতুল্য পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিৎ।
এছাড়াও রোগীর পাতে প্রতিদিন অন্তত দুইটি মৌসুমি ফল ও তিন প্রকার সবজি
থাকা দরকার। শুকনো ফলমূল বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার না করাই ভাল, কারণ শুকনো
ফলে থাকা ফ্রুক্টোজ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কয়েকটি খাবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর যেমন, প্রতিদিন এক চা
চামচ মেথি ১০০ মিলি পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে। খালিপেটে টমেটো জুস লবণ দিয়ে খেয়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
রাখা যায়। এছাড়া কয়েকটি কাজু বাদাম রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে
উপকার পাওয়া যায়।
দুধ ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কার্যকর। দুধে
রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক অনুপাতে শর্করা ও আমিষ যা রক্তের শর্করার
মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আঁশযুক্ত সবজি যেমন মটরশুঁটি, শিম, পালং শাক, ফুলকপি খাবারের তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিৎ।